en

সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্য বজায় রাখার উপায়

পৃথিবীতে সবাই সুন্দরী হয়ে জন্মায় না। কিন্তু নিয়মিত রূপচর্চা করলে সুন্দরী হয়ে উঠা খুব একটা কঠিন হয় না। তাছাড়া আপনি যদি সুন্দরী হন, তাহলেও আপনাকে ত্রিশ বছরের পর থেকে রূপচর্চায় অভ্যস্ত হতে হবে। তা না হলে আপনার রূপ লাবণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাই আপনার সৌন্দর্য ও যৌবন বহুদিন ধরে রেখে সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধির এবং বজায় রাখার নিয়মগুলো জেনে রাখা প্রয়োজন।আমরা শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির এবং বজায় রাখার জন্য নিম্নোক্ত উপায়সমূহ অবলম্বন করতে পারি। যেমন -

১) রোজ রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ধুতে হবে। এর জন্য গ্লিসারিন বা নিম তেলযুক্ত সাবান, ফেস ওয়াশ ক্রিম কিংবা বেসন ব্যবহার করতে পারেন।

২) দিনে দুইবার দাঁত মাজতে হবে। এই অভ্যাসটা দাতের সুস্থতার জন্য খুবই জরুরী।

৩) দিনে অন্তত সাত ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

৪) ব্রু প্লাক করার অভ্যাস থাকলে সেটা নিয়মিত করতে হবে।

৫) শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতে গোসল করার পর সারা গায়ে বডি লোশন বা অল্প তেল পানিতে গুলে নিয়মিত লাগাবেন।

৬) মিষ্টির বদলে খাবার পর ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

৭) বাসন মাজা, কাপড় কাচা বা বাগানে কাজ করার সময় হাতে রাভারের গ্লাভস পরে কাজ করলে হাতের সৌন্দর্য ঠিক থাকে।

৮) প্রতিদিন কমপক্ষে (৮ - ১২) গ্লাস পানি পান করা উচিত। কেননা পানি সঠিকভাবে খাবার হজম এবং অন্যান্য জৈবিক কাজ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৯) কয়েকদিন পর পর চুল বাঁধার স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে আপনাকে আরো বেশি সুন্দর দেখাবে।

১০) প্রতিদিন কিছুটা সময় হাঁটতে হবে। যদি আলাদা সময় না পান, তাহলে অফিস যাওয়ার পথে বা ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে আনার সময় হাটার চেষ্টা করুন।

১১) প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাত ও পায়ে ময়শ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে পারেন। ক্রিম বা লোশন লাগাতে না চাইলে গ্লিসারিন ও লেবুর রসের মিশ্রণ লাগাতে পারেন।

১২) রোজ এক গ্লাস দুধ খাবেন তাহলে দেহের সৌন্দর্য ঠিক থাকবে।

১৩) বডি স্লিম রাখার জন্য ভাত - রুটি কম খাবেন।

১৪) চুল সুন্দর রাখতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার শ্যাম্পু করবেন। ভিজে চুল বড়ো দাঁতওয়ালা চিরুনি দিয়ে আঁচড়ানো উচিত।

১৫) গোসল করার সময় সারা গায়ে সাবান দেবেন না, এতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাবে। কিন্তু যেসব জায়গায় ঘাম হয় সেখানে অবশ্যই দিতে হবে।

১৬) সপ্তাহে একদিন মুখে ডিম বা সাজি মাটির মাস্ক নেবেন। মাসে একবার চুলে মেহেদী দিতে পারেন।

১৭) রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে তরকারি খেতে হবে। মাঝে মাঝে ভিটামিন ট্যাবলেট ও খেতে পারেন।

১৮) নিয়মিত শরীরের ওজন মাপবেন। সেই অনুযায়ী খাওয়া দাওয়া করতে হবে।

১৯) গোসল করার সময় পামিস স্টোন, ঝামা দিয়ে গা ঘসবেন। নিয়মিত পেডিকিওর করাবেন।

২০) প্রতি সপ্তাহে একবার নখ কেটে ফাইল করে রঙ করবেন।

২২) রোজ দশ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন। সকাল বেলা ব্যায়াম করার জন্য উপযোগী সময়।

আরও পড়ুন:-

কপিরাইট © ২০১৮ রংতুলি চয়েস ইনফো